ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনায় বসবে না তেহরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি স্পষ্ট এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটি একেবারেই বন্ধ রাস্তা।’
মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে খামেনির এ বক্তব্য প্রচার করা হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের আড়ালে যখন কূটনৈতিক আলোচনার প্রচেষ্টা চলছে, ঠিক তখন এ মন্তব্য করলেন তিনি।
খামেনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আগেই আলোচনার ফল জানিয়ে দিয়েছে। ফলাফল হলো পারমাণবিক কার্যক্রম ও সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধ করা। এটা আলোচনা নয়, এটা চাপিয়ে দেওয়া শর্ত।’
এদিকে ইউএনজিএতে ভাষণ দেওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হবে না।’ তিনি তেহরানকে ‘বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
এর আগে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের (ই-৩) কূটনীতিক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান কায়া কাল্লাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে আসন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। বর্তমানে আলোচকদের অন্যতম প্রধান বিতর্কিত বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরু করা।
প্রসঙ্গত, ই-৩ দেশগুলো ইরানের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ করেছে, যেখানে নির্ধারিত সীমার চেয়ে ৪০ গুণ বেশি ইউরেনিয়াম মজুদ করার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে তার প্রথম মেয়াদে একতরফাভাবে এই চুক্তি (জেসিপিওএ) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন।