এশিয়া কাপের ঐতিহাসিক ফাইনাল শুরুর আগে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আঘা অবশেষে ভারতের সঙ্গে হাত না মেলানো বিতর্কে মুখ খুললেন। রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে, যা টুর্নামেন্টের ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
এবারের ভারত-পাকিস্তানের লড়াই মাঠের বাইরের বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। গ্রুপ স্টেজে প্রথম উত্তেজনা দেখা দেয়, যখন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব টসের সময় সালমানের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করেন। এরপর ভারত জয় লাভের পর যাদব সরাসরি মাঠ ছাড়েন, পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াই।
তাদের সঙ্গে থাকা শিভম দুবে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান, পাকিস্তান দল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী পোস্ট-ম্যাচ হাত মেলানোর অপেক্ষা করে। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সালমান পরবর্তী প্রেস কনফারেন্সেও অংশ নেননি। যার দায়িত্ব তখন মিডিয়ার সামনে সামলান প্রধান কোচ মাইক হেসন।
২১ সেপ্টেম্বর সুপার ফোর ম্যাচেও পরিস্থিতি একই রকম ছিল—দুই দলই খেলার আগে এবং পরে হাত মেলানো এড়িয়েছিল।
এ নিয়ে প্রি-ফাইনাল প্রেস কনফারেন্সে সালমান আলি আঘা বলেন, ‘আমি ২০০৭ থেকে অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে পেশাদারি ক্রিকেট খেলছি, কিন্তু এরকম ঘটনা আগে কখনো দেখিনি। আমার পিতা, যিনি আজীবন ক্রিকেট অনুসরণ করেছেন, এমন কিছু কখনো বলেননি। এমনকি দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ থাকলেও হাত মেলানো হতো। এটা ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়।’
শনিবার জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী প্রি-ফাইনাল ট্রফি শুটও ভারতের অংশগ্রহণ না করার কারণে হয়নি। এ বিষয়ে সালমান মন্তব্য করেন, ‘তারা যা ইচ্ছা করবেন। আমাদের নিজস্ব প্রোটোকল আছে, আমরা তা মেনে চলব। তারা চাইলে আসতে পারে, না চাইলে আসবে না—এটা তাদের সিদ্ধান্ত।’