নিত্যপণ্য নিয়ে অস্বস্তি কাটছেই না। তবে এবার সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু সেই স্বস্তি উবে যাচ্ছে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বেশির ভাগ পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে নিম্নআয়ের মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজের দাম ১৩০ টাকা ছিল সেটি এখন ১৫০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। একইভাবে ভোগাচ্ছে আলুর দামও। আলুর কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এভাবে নিত্যপণ্যের দাম মাঝে মাঝেই আকাশছোঁয়া বৃদ্ধি পায় কিন্তু দাম বৃদ্ধির রহস্য খুঁজে পায় না সরকারের সংশ্লিষ্টরা। কারণ নিশ্চিত, সিন্ডিকেটের সঙ্গে অনেকেই জড়িত রয়েছে। আবারও অন্যান্য পণ্যের পর এবার পেঁয়াজের বাজারেও সিন্ডিকেট থাবা বসিয়েছে।
কিছুদিন আগেও পেঁয়াজের দাম বাজারে স্বাভাবিক ছিল, হঠাৎ করে কেন বাড়িয়ে দেওয়া হলো এর যৌক্তিকতা কী? যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাধারণত অক্টোবরের মধ্যেই মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এবার বৃষ্টির কারণে বাজারে উঠতে সময় লাগবে। আগাম পেঁয়াজ বাজারে উঠলে দাম কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করছেন তারা এবং হিমাগারের মজুদ প্রায় শেষদিকে। তাই দাম অত্যধিক বেড়েছে। প্রশ্ন হলো- তাই বলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বিশ টাকা বাড়বে? এটা কোন যুক্তি? সিন্ডিকেটরা কারসাজি করে অতিরিক্ত দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সুযোগ পেলেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে দেয়। এভাবে চলতে পারে না। জনগণের কথা ভাবার কি কেউ নেই? বাংলাদেশে একবার কোনো পণ্যের দাম বাড়লে তা আর কমতে চায় না। আমাদের দেশে হতদরিদ্রদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি থাকলেও মধ্যবিত্তদের জন্য কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আর যারা নানা অজুহাতে দফায় দফায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন। বাজারের লাগাম টানতে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে হবে। তা হলেই জনগণ সুফল পাবে।