ম্যাচের চতুর্থ ওভারে বাংলাদেশ পেতে পারত বড় সাফল্য। তানজিম হাসানের বলে উইকেটের পেছনে সুযোগ তৈরি হয়েছিল, কিন্তু জাকের আলির গ্লাভসে বল টিকল না। তখন অভিষেক শর্মার রান ছিল মাত্র ৭। সেখান থেকেই শুরু হয় তার তাণ্ডব।
জীবন পাওয়ার পর অভিষেক ব্যাট ঘুরিয়েছেন নির্দ্বিধায়। ২৫ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করে ৩৭ বলে খেলেন বিস্ফোরক ৭৫ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা। দুর্দান্ত থ্রোতে রিশাদ হোসেন তাঁকে রানআউট করলেও এর মধ্যেই ভারত গড়ে ফেলে বড় সংগ্রহের ভিত। জাকেরের সেই মিসড ক্যাচের পরই অভিষেকের ব্যাট থেকে আসে অতিরিক্ত ৬৮ রান।
ভারতের ইনিংস শেষ হয় ৬ উইকেটে ১৬৮ রানে। জবাবে ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থ বাংলাদেশ। শুরুতে পাওয়ারপ্লেতে ৪৪ রান তুললেও ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউ। সাইফ হাসান ও পারভেজ হোসেন ছাড়া আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ১২৭ রানে গুটিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত হেরে বসে ৪১ রানে।
ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের সেই ক্যাচ মিস নিয়েই প্রশ্নের মুখে পড়েন জাকের। তিনি স্বীকার করেন, ‘এটা রেগুলার ক্যাচ ছিল, ধরা উচিত ছিল। আমি চেষ্টা করেছি, কিন্তু হাত ফসকে গেছে। বলা যায়, ওটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।’
অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচটা জাকেরের জন্যও সুখকর হয়নি। ব্যাট হাতে করেছেন মাত্র ৪ রান, হয়েছেন রানআউট। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারতাম, হয়তো ফল অন্যরকম হতো। আমরা ফিনিশিংয়ের জায়গায় কাজ করছি, কীভাবে ম্যাচ শেষ করে জেতানো যায়।’
বাংলাদেশের সামনে এখন আরও বড় চ্যালেঞ্জ। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে আগামী বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা। সেই ম্যাচের জয়ী দলই ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে খেলবে ফাইনাল।