লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৫ নভেম্বর ২০২৫
সবজি হিসেবে আলু খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। ছোট-বড় সবাই এ খাবারটি খেতে ভালোবাসেন। রান্নায় অনেকে এই সবজির ব্যবহার ছাড়া কেনো খাবার রান্না করা ভাবতেই পারেন না। তাই রোজ বাজারের ধকল সামলাতে বেশি করে আলু কিনে ঘরে মজুত করে রাখেন অনেকেই।
ঘরে আলু মজুত করে রাখলে যে সমস্যাটি প্রায়ই আপনি লক্ষ করেন তা হলো আলুর মধ্যে শিকড় গজিয়ে যাওয়া। এমন আলুকে অঙ্কুরিত আলু বলা হয়।
এই অঙ্কুরিত আলু রান্নায় ব্যবহার করে খাওয়ার জন্য কতটা স্বাস্থ্যকর বা নিরাপদ কি না, তাই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকছে আজকের আয়োজনে।
অনেকে মনে করেন, এমন আলু খেলে শরীরে কোনো সমস্যাই হয় না। তাই রান্নায় হরহামেশাই ব্যবহার করছেন এই আলু। আলু ফেলে না দিয়ে এই যে মনে করছেন আপনি অনেক টাকা বাঁচাতে পেরেছেন তা কিন্তু নয়। বরং আপনার মূল্যবান স্বাস্থ্যকে ফেলে দিচ্ছেন ঝুঁকির মধ্যে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, আলুতে স্বল্প পরিমাণে সোলানাইন ও ক্যাকোনাইন নামক গ্লাইকোঅ্যালকয়েড থাকে। সামান্য পরিমাণে এসব উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে তা রক্তচাপ ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তবে যখন আলুতে শিকড় গজাতে শুরু করে, তখন এই গ্লাইকোঅ্যালকয়েডের পরিমাণ অতিমাত্রায় বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে বেশি মাত্রায় গ্লাইকোঅ্যালকয়েডের উপস্থিতি শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে, যা আপনার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ধীরে ধীরে দুর্বল করে তুলবে।
নিয়মিত এই আলু খেলে আমাদের পাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অনেকের মাথাব্যথা শুরু হয়। স্নায়ুতে দেখা দেয় নানা অসংগতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসঙ্গে বেশি পরিমাণে এ ধরনের আলু খেলে আপনি কোমায় চলে যেতে পারেন। যারা হবু মা হতে চলেছেন, তাদের কোনোভাবেই এ ধরনের আলু খাওয়া নিরাপদ নয় বলে মনে করছেন তারা।
অনেকে আলুর অপচয় বাঁচাতে আলুর অঙ্কুর কেটে ফেলে দিয়ে বাকি আলুর অংশ রান্নায় ব্যবহার করছেন। এতেও কিন্তু কোনো লাভ হয় না। কারণ, আলুর অঙ্কুরে শুধু গ্লাইকোঅ্যালকয়েড উপাদানটি থাকে না। তা পুরো আলুতেই থাকে।
এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আলু খুব বেশি পরিমাণে কিনে তা বাড়িতে সংরক্ষণ করবেন না। কোনো কারণে আলু বাড়িতে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে তা অন্ধকার এবং ঠান্ডা জায়গায় রাখতে চেষ্টা করুন। এতে আলুতে সহজে শিকড় বা অঙ্কুর গজাবে না
সম্পাদক:মো: আবু ফাত্তাহ
বেঙ্গল সেন্টার (৬ষ্ঠ তলা) ২৮ তোফখানা রোড ঢাকা-১০০০।
ফোন:০১৬১৮৫১১৫১৭ মেইল: sattyasamacher@gmail.com
Copyright © 2025 sattyasamacher.com. All rights reserved.